Computer

জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কিছু কম্পিউটার তথ্য

প্রিয় বন্ধুরা আমরা জানি যে, কম্পিউটার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কল্যাণকর ও জনপ্রিয় প্রযুক্তি। এজন্য বর্তমান যুগকে বলা হয় কম্পিউটারের যুগ। সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও কম্পিউটার প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ঘটে চলেছে। কম্পিউটার বিষয়ে জানা এবং কম্পিউটার ব্যবহারে  কারোরই আগ্রহের কমতি নেই।  তবে মাঝে মাঝে যখন কাউকে কম্পিউটার বিষয়ক কোন প্রশ্ন করি  বেশির ভাঘই উত্তর দিতে ব্রেনের ঘাম কপালে বের করে পেলে। তাই  আমার সকল বন্ধুদের জন্য নিছে কিছু কমন থিউরি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি থিউরিগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন।


প্রশ্নঃ কম্পিউটার কি?
উত্তরঃ কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। যা মানুষের দেয়া তথ্য যুক্তিসংঙ্গত নির্দেশের ভিত্তিতে অতি্দ্রুত এবং নির্ভূলভাবে গণনা ও সম্পাদন সহ সঠিক ফলাফল প্রদান করতে পারে। তবে বর্তমানে কম্পিউটার শুধু গণনা কাজেই নয়, প্রায় সব ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ লেখাপড়া করা, মদ্রণ করা, তথ্য সংরক্ষন করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, খেলা করা, টেলিফোন করা, দেশ-বিদেশের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করা ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ কম্পিউটার (Computer) শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন কমপুটেয়ার (Computare) থেকে যার অর্থ গণনা করা। সে হিসেবে কম্পিউটার অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।
প্রশ্নঃ কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ কম্পউটার একটি বহুবিধ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলঃ নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা, দ্রুতগতি, নির্ভূলতা, ক্লান্তিহীনতা, বহুমুখীতা, স্মৃতিতে সংরক্ষণ ক্ষমতা, কাজের সূক্ষ্মতা, সহনশীলতা ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার কে আবিস্কার করেছেন?
উত্তরঃ কম্পিউটার উদ্ভাবনের কৃতিত্ব কোন একক ব্যক্তির নয়। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দেশের অজস্র বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল কম্পিউটার। এ প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডের গণিতবিদ চার্লস ব্যবেজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন বলে তাঁকে একজন খামখেয়ালি ও বাতিকগ্রস্ত মানুষ মনে করা হলেও তাঁর ধারণা ও পরিকল্পনার জন্য তিনি আধুনিক কম্পিউটারের জনক হয়ে আছেন।
প্রশ্নঃ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ কম্পিউটারের যান্ত্রিক অংশসমূহকে হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রসামগ্রী বলা হয়। হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রাংশসমূহ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত সফ্টওয়্যার বা প্রেগ্রামসামগ্রীর প্রয়োজন হয়। হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের সম্মিলিত কার্যকলাপের মাধ্যমে কম্পিউটার কাজ করে থাকে। এদের একটি ছাড়া অন্যটি কিছু করতে পারে।
প্রশ্নঃ অপারেটিং সিস্টেম বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ কম্পিউটারের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কার্যপ্রণালীর নিয়ন্ত্রন ও পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারকে অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। অপারেটিং সিস্টেম মূলত কম্পিউটারের অভ্যন্তরে ব্যবহারকারীর কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং ব্যবহারকারীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই কম্পিউটারকে অনবরত চালু রাখতে সহায়তা করে।
প্রশ্নঃ ইন্টারনেট কি?
উত্তরঃ ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমবায়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। ইন্টারটের মাধ্যমে এক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে ভিন্ন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেটওয়ার্কিং (Internetworking) বলা হয়। সে হিসেবে ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটওয়ার্কও বলা হয়।
সময়ের সল্পতার কারনে অল্প কিছু তথ্য দেয়া হয়েছে। আপনাদের মতামত পেলে আরো বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবো। সুতারাং মতামত দিতে ভুলবেন না যেন।



পুরাতন দিনের জনপ্রিয় কিছু কম্পিউটার


আমার আগের দুটি পোস্ট এর সুত্র ধরেই আজকে আমার এ পোস্টটি করা। আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার সংগ্রহে থাকা বেশ কিছু আদি যুগের (!) দুনিয়া কাপানো Personal Computer এর কথা তুলে ধরার চেষ্টা করব। জানি না কতটা সফল হব, কিন্তু আপনাদের কাছে ভাল লাগলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে বলে মনে করব।
ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক (Macintosh Classic)
MAC Classic
ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক বা ফ্যাট ম্যাক (ফ্যাট ম্যাক এর অফিসিয়াল নাম), প্রথম বের হয় জানুয়ারী ১৯৮৪ সালে। ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক এর সাথে ইন্টারনাল মনিটর তো ছিলই, অনেকে একে দেখলে বলে কম্পিউটার কথায়, এটাত একটা মনিটর। ৯ ইঞ্চি মোনক্রমের মনিটর। যাই হোক, ৮ মেগাহার্জের Motorola MC68000 সাথে কম্পিউটার টিতে ১ মেগাবাইট র‍্যাম এবং ৫১২ কিলোবাইট রম ছিল। এতে কোন প্রকার অপ্টিক্যাল ড্রাইভ বা হার্ড ড্রাইভ (ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক ২ তে ৪০ মেগা হার্ড ড্রাইভ ছিল) না থাকলেও ৮০০ কিলোবাইট এর একটি  ফ্লপি ড্রাইভ ছিল।

ম্যাকিন্টোশ এল সি ৪৭৫ (Macintosh LC475)
MAC LC475এর পরে যে কম্পিউটারটি নিয়ে আমি বলতে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে, ম্যাকিন্টোশ এল সি ৪৭৫। Motorola MC68LC040 প্রসেসরের ২৫ মেগা হার্জ ক্ষমতার এ কম্পিউটার টি ৪ মেগাবাইট র‍্যাম যার ১ মেগাবাইট শেয়ারড ছিল মেইন লজিক বোর্ড এর সাথে। লো প্রোফাইল ডিজাইন সাথে এক্সটারনাল ভিডিও মনিটর এবং ৮০ মেগাবাইট এর ইন্টারনাল হার্ড ড্রাইভ। এতে কোন প্রকার অপ্টিক্যাল ড্রাইভ না থাকলেও ১.৪ মেগাবাইট এর ফ্লপি ড্রাইভ ছিল।



ম্যাকিন্টোশ পাওয়ার ৮৬০০/২০০ :powerpc 8600-200
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ এ বের হওয়া এ পাওয়ার পিসি টি ডটার কার্ড এ বসান ২০০ মেগাহার্জের পাওয়ার পিসি ৬০৪ ই প্রসেসর এ চলত।৪ মেগাবাইট রম এবং ৩২ মেগাবাইট র‍্যামের এ কম্পিউটার টিতে ২ মেগাবাইট ভিডিও র‍্যামও সংযুক্ত ছিল। এর স্ট্যান্ডার্ড হার্ড ড্রাইভ টি ৮০ মেগাবাইট এর হলেও চাইলেই অতিরিক্ত কিছু টাকা দিয়ে আপনি সে সময়কার ২ গিগাবাইট হার্ড ড্রাইভ নিতে পারতেন।এতে ১২x স্পীডের সিডি রম এবং ১.৪৪ মেগাবাইটের ফ্লপি ড্রাইভ ও ছিল।১৯৯৭ সালে এর দাম ছিল ৩২০০ ডলার।





সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +( Sinclair Zx Spectrum+)
DSC01291
এ কম্পিউটার টি ছিল, ৩.৫৪ মেগাহার্জ এর যি-লগ যেড ৮০ এ প্রসেসর যুক্ত। সাথে ১৬ কিলোবাইট র‍্যাম। এর ডিসপ্লে ছিল, ৩২x২২ ক্যারেক্টার টেক্সট ডিসপ্লে, ২৫৬x১৯২ পিক্সেল রেজোলিউশান, ৮ কালার। এর স্টোরেজ সিস্টেম ছিল এক্সটারনাল টেপ রেকর্ডার অথবা মাইক্রোড্রাইভ।
সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +১২৮ ( Sinclair Zx Spectrum+ 128)
DSC03141
সিনক্লিয়ার কম্পানি তাদের নতুন এবং আরও ইম্প্রুভড যেড এক্স স্পেকট্রাম + ১২৮ , কোড নেমঃ ডারবি (Zx Spectrum+ 128K, Code Name: Derby) যার প্রথম প্রদর্শন হয় ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি শুরু করে ১৯৮৬ সালে, যার দাম ধরা হয়েছিল মাত্র ১৭৯.৯৫ পাউন্ড (এটা মাত্র !!!!!) সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম + এর থেকে অবশ্যই নতুন কিছু আছে এতে… ১২৮ কিলোবাইট র‍্যাম, ৩২ কিলবাইট রম, এবং এক্সটারনাল কী- বোর্ড। এছাড়াও ছিল, ১৬ বিট Address বাসের নতুন যেড ৮০ প্রসেসর।নতুন সাউন্ড চিপ এবং মিডি আউট ছিল সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +১২৮ এর আরো একটি চমক।
কমোডোর ৬৪ (Commodore 64)
Commodore 64 _2
জনপ্রিয় Personal Computer গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম হচ্ছে, কমোডোর ৬৪, যার আগের ভার্সন টি ছিল কমোডোর ভি আই সি – ২০ এবং পরের টি ছিল, কমোডোর ১২৮। কমোডোর ৬৪ বের হয়েছিল, অগাস্ট ১৯৮২ তে। কমোডোর কারনেল / কমোডোর বেসিক ২.০ ছিল এর অপারেটিং সিস্টেম। এর প্রসেসর ছিল মস টেকনোলজির ৬৫১০, যা ১.০২ মেগাহার্জ গতির (এন টি এস সি ভার্সন)। নামেই বোঝা যায়, ৬৪ কিলোবাইট র‍্যাম ছিল এর ভেতরে। আর গ্রাফিক্স এর কথা বলতে গেলে বলতে হবে, ৩২০x২০০ পিক্সেল এর ১৬ কালারে এর ডিসপ্লে দেখাত। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ছিল, CIA Joysticks, Cartridge, RF, IEEE-488 Floppy/ Printer, Digital Tape ইত্যাদি।
আল-আলামিয়াহ এ এক্স ১৭০ (Al-ALamih AX170):
DSC01293
জাপানে প্রস্তুত এ Personal Computer টি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ এর মধ্যে কোন এক সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এ কম্পিউটার টি এরাবিক দেশগুলোতে খুবি চলেছিল , যার প্রধান কারন ছিল, এর এরাবিক কী বোর্ড।যাইলগ যেড ৮০ প্রসেসরের এ কম্পিউটার টিতে ৬৪ কিলোবাইট র‍্যাম এবং ৩২ কিলোবাইট রম ছিল। এর ডিসপ্লেতে এটা ১৬ কালারের গ্রাফিক্স দেখাতে পারত।

0 comments:

Post a Comment